• ঢাকা
  • বুধবার, ১৯ আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ; ০৩ জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

Advertise your products here

banner image
website logo

ভালুকায় কৃষি উদ্যোক্তা তৈরির কারিগর সাইদুল ইসলাম


ঢাকানিউজ২৪.কম ; প্রকাশিত: সোমবার, ২৪ জুন, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১২:৪৭ পিএম
ভালুকায় কৃষি উদ্যোক্তা তৈরির কারিগর
সাইদুল ইসলাম

ভালুকা (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি : ময়মনসিংহের ভালুকায় কৃষি কাজে শিক্ষিত বেকার ও সাধারণ কৃষককে কৃষি কাজে পরামর্শ দিয়ে উদ্যোক্তা তৈরি করে পতিত জমি চাষাবাদ এবং খামার সার ও কম্পোস্ট সার তৈরিতে প্রতিনিয়ত কৃষকের পাশে থাকছেন কৃষকের বন্ধু সাইদুল ইসলাম। তিনি ভালুকা উপজেলার কৃষি উপসহকারী কর্মকর্তা হিসেবে হবিরবাড়ীর ইউনিয়নের হবিরবাড়ীর ব্লকের দায়িত্বে আছেন।

তিনি নব কৃষি উদ্যোক্তা ব্যক্তি তৈরি হিসেবে পরিচিত লাভ করেছেন। উপজেলার বিভিন্ন এলাকার কৃষকের সাথে তার সু-সম্পর্ক রেখে প্রতিনিয়ত পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন।

তিনি ফসলের ক্ষতিকর পোকামাকড় দমনে ফসলের মাঠে কৃষকদের নিয়ে নিয়মিত আলোক ফাঁদ করে যাচ্ছেন। এতে কৃষকরা আতঙ্কিত নয়, সচেতন হচ্ছেন ও আগাম পূর্বাভাস পাচ্ছেন। এছাড়াও তিনি পতিত জমির সদ্ব্যবহার এবং বিভিন্ন কোম্পানির বাউন্ডারির ভিতরে সাময়িক পতিত জমিকে সবজি চাষের মাধ্যমে চাষাবাদের আওতায় এনে নানামুখী উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। এছাড়াও মাটির স্বাস্থ্য রক্ষায় আধুনিক উপায়ে সরকারি সহায়তায় ও উদ্বুদ্ধ করনের মাধ্যমে অগ্রজ কৃষকদের নিয়ে ভার্মি কম্পোস্ট, খামারজাত সার ও অন্যান্য কম্পোস্ট উৎপাদন ও ব্যবহার করে যাচ্ছেন। কৃষিতে নব নব উদ্যোক্তা তৈরি করা পুষ্টিবাগান ও ফল বাগান সৃজনে তিনি নিয়মিত কৃষকদের সাথে করে যাচ্ছেন উঠান বৈঠক।

হবিরবাড়ী এলাকার জয়নাল আবেদীন বলেন, পতিত জমি চাষাবাদের ব্যবহার ও ফসলি জমির মাটির প্রাণ জৈব কম্পোস্ট সার তৈরি ও ফসলে মাঠে ব্যবহারে সার্বিক ভাবে আমাদের সব সময় পাশে সহযোগিতা করে কৃষকের বন্ধু কৃষি উদ্যোক্তা সাইদুল ইসলাম ভাই।

হবিবাড়ী এলাকার কৃষক আবদুর রশিদ, মো. আমির, আঃ আব্বাস, মো. আলাল মিয়া ও জালাল উদ্দিন বলেন, কৃষি কাজ করে আমাদের সংসার জীবনের খরচ চালাতে হয়। এ বছরে আমন ধানের ফসল ভালো হয়েছে। তবে পোকা মাকড়, ইঁদুর রোগ বালাই থেকে রক্ষার জন্য কৃষি কর্মকর্তার কাছ থেকে আমরা এলাকার প্রায় সকল কৃষক আমন ধানের সুরক্ষার সন্ধ্যাকালীন আলোক ফাঁদ তৈরির প্রশিক্ষন গ্রহন করি। কৃষি কর্মকর্তা সাইদুল স্যার আমাদের সমস্যার কথা শুনামাত্রই চলে আসে। তবে এ বছর নামা জমিতে আমন ধান প্রবল বর্ষণে পানিতে ডুবে যায়। পানি নামার সাথে সাথে তার পরামর্শে আমরা ফসলি জমিতে কাজ করে যাচ্ছি।

কৃষি উপসহকারী কর্মকর্তা সাইদুল ইসলাম বলেন, কৃষিই সমৃদ্ধি, স্মার্ট কৃষি স্মার্ট হবে বাংলাদেশ। ফসলে জৈব সার দিলে আমরা পাবো ফসলের আসল স্বাদ। তবে এ বছর নামা জমিতে আমন ধানে প্রবল বর্ষণে পানিতে ডুবে যায়, ফলে কৃষকের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। যাতে আংশিক ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারে সে পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি।

তিনি আরো বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বানী এক ইঞ্চি জমিও অনাবাদি রাখা যাবে না।’ তারি ধারাবাহিকতায় কৃষির আধুনিকায়নে কাজ করে যাচ্ছি।

ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন

আরো পড়ুন

banner image
banner image