স্বাস্থ্য ডেস্ক: বয়স বাড়ার সাথে সাথে অনেকে ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যায় ভোগেন। শরীরে এই অ্যাসিডের পরিমাণ বৃদ্ধি পেলে উচ্চ রক্তচাপ বেড়ে যায়, হাড়ের সমস্যা দেখা দিতে পারে। এমনকি কিডনিতে অকেজোও হয়ে যেতে পারে।
সাধারণত অস্বাস্থ্যকর খাওয়া এবং অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাত্রা রক্তে ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ বাড়ায়। এটি অনেকক্ষেত্রে জিনগত কারণেও হতে পারে।
সাধারণত অস্বাস্থ্যকর খাওয়া এবং অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাত্রা রক্তে ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ বাড়িয়ে তোলে। এটি কিছু ক্ষেত্রে জেনেটিক সমস্যার কারণেও হতে পারে।
ইউরিক অ্যাসিড এমন একটি রাসায়নিক যা হজমের সময় শরীরে উত্পাদিত হয়। ইউরিক অ্যাসিডে এক ধরণের অ্যামিনো অ্যাসিড রয়েছে যা ‘পিউরাইনস’ নামে পরিচিত কিছু খাবারের মধ্যেও পাওয়া যায়।
ইউরিক অ্যাসিড রক্তের সাথে মিশে কিডনিতে বিশুদ্ধ হয় এবং তা প্রস্রাবে বের হয়। তবে কখনও কখনও শরীর এত বেশি ইউরিক অ্যাসিড তৈরি করে যে এটি সঠিকভাবে পরিশুদ্ধ করা যায় না। ফলে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়।
কিছু খাবার শরীরে অতিরিক্ত ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ হ্রাস বা বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এজন্য ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে খাবার সম্পর্কে সতর্ক হওয়া সকলের দরকার।
পাশাপাশি জীবনযাত্রার মানেরও পরিবর্তন আনা দরকার।
ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণের উপায়সমূহ:
১. রান্নায় কম মশলা দিন। বড় মাছ, লাল মাংস, দুধ, বেকন, কলিজা এড়িয়ে চলুন। যদি ইউরিক অ্যাসিড সমস্যা থাকে তবে সামুদ্রিক মাছও এড়িয়ে চলতে হবে।
২. ফ্যাটবিহীন দুধ খাওয়া অভ্যাস করতে হবে। এছাড়াও চিনাবাদামের মাখন, ফল, শাকসব্জি বেশি খেতে হবে। এছাড়া কালো কফি খাওয়ার অভ্যাস করা যেতে পারে।
৩. অ্যাসপিরিন জাতীয় ঔষধ থেকে দূরে থাকতে হবে।
৪. নিয়মিত ব্যায়াম করুন এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করুন।
৫. লাচ্চি খাওয়া ঠিক হবে না।
৬। চায়ের পরিবর্তে কফি পান করার অভ্যাস করুন। প্রতিদিন তিন থেকে চার কাপ ব্ল্যাক কফি পান করলে শরীর ভাল থাকে। তবে কিডনির সমস্যা এড়াতে যত্নবান হতে হবে।
৭। খাবার তালিকায় ভিটামিন সি রাখুন। নিয়মিত লেবু বা ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল খান। ভিটামিন সি ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে দুর্দান্ত কাজ করে।
ইউরিক অ্যাসিড সমস্যা কমাতে আপনার ডায়েটে কিছু খাবার যুক্ত করুন
৮। চর্বিযুক্ত মাংস পরিহার করুন। এক্ষেত্রে আপনি ছোট মুরগির মাংস খেতে পারেন। মাছ ছাড়াও কুসুম ছাড়িয়ে পরিমাণ মতো ডিম খেতে পারেন।
৯। আঁশযুক্ত এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট খাবার খেতে পারেন। এর জন্য আপনি লেবু চা, ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল (পেয়ারা, আম, কমলা, মাল্ট), গ্রিন টি ইত্যাদি খেতে পারেন।
১০. প্রতিদিন আড়াই থেকে তিন লিটার পানি অবশ্যই পান করুন।