নিউজ ডেস্ক : পরাজিত প্রার্থীদের আপত্তি ও গোলমালের মধ্যে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের একাংশের নির্বাচনের ফল ঘোষণা হয়েছে।
এই নির্বাচনের জন্য গঠিত নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত ফল অনুযায়ী সভাপতি পদে নির্বাচিত হয়েছেন আবু জাফর সূর্য; তবে হেরেছেন তার প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী সাজ্জাদ আলম খান তপু।
সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচন কমিশন সোহেল হায়দার চৌধুরীকে নির্বাচিত ঘোষণা করলেও হেরেছেন তার প্যানেলের সভাপতি প্রার্থী কুদ্দুস আফ্রাদ।
বুধবার দিনভর ভোটগ্রহণের পর মধ্যরাতে মঞ্চ এবং মঞ্চের চেয়ার ভাংচুরের পর এক পক্ষের নির্বাচন বয়কটের ঘোষণার মধ্যে ফল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন।
তাতে দেখা যায় সভাপতি পদে আবু জাফর সূর্য ৭১২ ভোট পেয়েছেন; তার, নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কুদ্দুস আফ্রাদ পেয়েছেন ৬৭১ ভোট।
সাধারণ সম্পাদক পদে সোহেল হায়দার চৌধুরী ৫৪৯ ভোট পেয়েছেন; তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সাজ্জাদ আলম তপু পেয়েছেন ৪৮৮।
ঘোষিত ফলাফলে-
সহ সভাপতি পদে খন্দকার মোজাম্মেল হক ৭০৪ ভোট,
যুগ্ম সম্পাদক পদে আকতার হোসেন ৫৮৫ ভোট,
কোষাধ্যক্ষ পদে উম্মুল ওয়ারা সুইটি ৯২৬ ভোট,
সাংগঠনিক সম্পাদক পদে মনিরুজ্জামান উজ্জল ৬৭৪ ভোট,
প্রকাশনা সম্পাদক পদে জাহেদুর রহমান জিহাদ ৭০৩ ভোট,
ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে জি এম মাসুদ ডালী ৬৭৩ ভোট,
জনকল্যাণ সম্পাদক পদে ফারহানা ইয়াসমিন মিলি ৫০৯ ভোট,
দপ্তর সম্পাদক পদে আমির মাহমুদ ৬১৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন।
নির্বাহী সদস্য পদে নির্বাচিত হয়েছেন হালিমা আক্তার লাবণ্য, গোলাম মুজতবা ধ্রুব, শাহনাজ পারভিন, সলিম উল্লাহ সেলিম, এম শাহজাহান মিয়া, শাকিলা পারভিন, ইব্রাহীম খলিল খোকন, মহিউদ্দিন পলাশ, অজিত কুমার মহলদার, জাহিদা পারভেজ চন্দ্র।
রাত ৮টার দিকে ভোট গণনা শেষ হওয়ার পর থেকেই আপত্তি তুলতে থাকে হেরে যাওয়া বিভিন্ন প্রার্থী। ভোট রিডার মেশিনে ত্রুটির পাশাপাশি জাল ভোটের অভিযোগও তোলেন তারা।
রাত ১০টার দিকে ফল ঘোষণা করতে গেলে তোপের মূখে পড়ে নির্বাচন কমিশন। এরপর রাত পৌনে ১২টার দিকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার আবু তাহের পূর্ণাঙ্গ ফল ঘোষণা করতে গেলে ফল ঘোষণার মঞ্চ ও সামনে প্রার্থীদের বসার চেয়ার ভাংচুর করা হয়।
এর মধ্যেই ফল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন।
এসময় কয়েকজন ‘নির্বাচন মানি না’ বলে স্লোগান দিচ্ছিলেন।
সভাপতি প্রার্থী কুদ্দুস আফ্রাদ, সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী সাজ্জাদ আলম তপু, সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী সেবিকা রানী ভোট গণনা শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বয়কটের ঘোষণা দেন।
কুদ্দুস আফ্রাদ বলেন, “এই নির্বাচন জালিয়াতির নির্বাচন। এজেন্টের স্বাক্ষর ছাড়া ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। আমরা এই নির্বাচন বয়কট করেছি।”
কুদ্দুস আফ্রাদের প্রতিদ্বন্দ্বী প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী সাজ্জাদ আলম তপুও পুনঃনির্বাচন দাবি করেন।
তিনি বলেন, “এই নির্বাচন শুরু থেকেই প্রশ্নবিদ্ধ। জাল ভোটে ভরপুর এই নির্বাচন। আমরা ফলাফল মানি না।”
একই সুরে সেবিকা রানীও বলেন, “আমরা এই ফলাফল মানি না। কারচুপি হয়েছে। জাল ভোটের ছড়াছড়ি।”