বারী উদ্দিন আহমেদ বাবর, কুমিল্লা প্রতিনিধি: নাম জুয়েল (১৩)। পিতার নাম জাহিদ। অসম্পন্ন ঠিকানার একটি শিশুর লাশ। পরিচয় নিশ্চিত হতে গলধঘর্ম পুলিশ। কে এই শিশু? যার পরিচয় জানতে উদ্ভ্রান্ত হয়ে পড়েছে পুরো একটি থানার পুলিশসহ স্থানীয় সাংবাদিক। আসলে মানবিকতার তাড়না থেকেই হন্য হয়ে শিশুটির পরিচয় খুঁজে বেড়াচ্ছে নাঙ্গলকোট থানা পুলিশ। মুঠোফোন, ফেসবুক, টুইটারসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে ছবি সম্বলিত লেখা পোষ্ট স্থানীয় সাংবাদিকদের ডেকে ব্রিফিং, নোটিশ বোর্ডে ছবি সাটাঁনো, থানায় থানায় বেতার বার্তা পাঠানোসহ প্রায় গত ৩দিন ধরে কোন প্রচেষ্টাই বাদ দেয়নি পুলিশ। তবুও মিলছে না ওর পরিচয়। কোন হতভাগ্য বাবা মায়ের সন্তান সে। কোন কিছুই জানতে পারছেনা পুলিশ।
মঙ্গলবার সকালে নাঙ্গলকোট থানা পুলিশ কর্তৃক কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে অজ্ঞাত এক শিশুর লাশ উদ্ধার করে থানা অভ্যন্তরে নিয়ে আসে। ওই শিশুর পরিচয় নিশ্চিত হতে স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীদের সহযোগিতা চেয়ে প্রেস ব্রিফিং করেছেন নাঙ্গলকোট থানার প্রধান আধিকারীক (ওসি অপারেশান) মোহাম্মদ আইয়ূব।
নানা তথ্য উপাত্ত দিয়ে সাংবাদিকদের সহযোগিতা ও নানা স্থানে যোগাযোগ করাসহ সবরকমের খোঁজ খবর চালিয়ে যাচ্ছেন থানার পুলিশ কর্তা (ওসি তদন্ত) আশ্রাফুল ইসলাম।
আজ (৬ জুলাই) দুপুর ৩টায় ওসি মোহাম্মদ আইয়ূব জানান, উপজেলার মক্রবপুর বাজার এলাকায় রাস্তার পাশে অজ্ঞাত এই কিশোরকে অসুস্থ অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে টুয়া গ্রামের বজলুর রহমানের ছেলে কামরুজ্জামানসহ স্থানীয় কয়েকজন লোক তাঁকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে তিনি আরো জানান চিকিৎসাধীন অবস্থায় দায়িত্বরত ডাক্তারকে ওই শিশু বলেছিলেন, তার নাম জুয়েল। পিতার নাম জাহিদ। এরপর সে কোন কথাই বলতে পারেনি এবং কিছুক্ষণ পর তার মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে থানা পুলিশ ওই শিশুর লাশ উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।