নিউজ ডেস্ক: বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী ইমাজ উদ্দিন প্রামাণিক বলেছেন, বাংলাদেশের সোনালী আঁশ পাটের হারানো গৌরব ফিরিয়ে আনার জন্য বর্তমান সরকার বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। আজ বুধবার সংসদে সরকারি দলের বজলুল হক হারুনের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, ৫টি বন্ধ পাটকল চালু করা হয়েছে। পিপলস জুট মিলস লি. (বর্তমানে খালিশপুর জুট মিলস লি. নামে), কওমী জুট মিলস লি. (বর্তমানে জাতীয় জুট মিলস লি. নামে), দৌলতপুর জুট মিলস লি., কর্ণফুলী জুট মিলস লি. ও ফোরাত-কর্ণফুলী কার্পেট ফ্যাক্টরি।
পাটমন্ত্রী বলেন, ‘পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন-২০১০’ প্রণয়নের মাধ্যমে দেশে ধান, চাল, গম, ভুট্টা, সার, চিনি, মরিচ, হলুদ, পেঁয়াজ, আদা, রসু, ডাল, ধনিয়া, আলু, আটা, ময়দা, তুস-খুদ-কুড়া এই ১৭টি পণ্যের মোড়কীকরণে পলিথিন ব্যাগের পরিবর্তে পাটের তৈরি ব্যাগ ব্যবহার কার্যকর করা হয়েছে।
তিনি বলেন, চীনের সরকারি সহায়তা ৬ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ৫০-৬০ বছরের পুরনো ২৬টি পাটকল পর্যায়ক্রমে ‘বিএমআরই’ করার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
ইমাজ উদ্দিন প্রামাণিক বলেন, বিশ্বের প্রধান পাটপণ্যের বাজারগুলোতে, আন্তর্জাতিক মেলায়, বিভিন্ন সেমিনারে অংশগ্রহণ পূর্বক রপ্তানি বৃদ্ধির চেষ্টা চালানো হয়েছে। আন্তর্জাতিক ও বিদেশি সরকারি ক্রেতা সংস্থাগুলোর ব্যবসায়িক টেন্ডারে প্রতিনিধি প্রেরণপূর্বক ব্যবসা সংগ্রহ করার প্রচেষ্টা জোরদার করা হয়েছে।
তিনি বলেন, পাটকে কৃষিপণ্য হিসেবে ঘোষণা করে নগদ সহায়তার পরিমাণ ৭ দশমিক ৫ থেকে বৃদ্ধির প্রস্তাব প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।