ফারজানা মৃদুলা
চুল তার কবেকার অন্ধকার বিদিশার নিশা,
মুখ তার শ্রাবস্তীর কারুকার্য, অতিদূর সমুদ্রের ’পর
হাল ভেঙে যে-নাবিক হারায়েছে দিশা
সবুজ ঘাসের দেশ যখন সে চোখে দেখে দারুচিনি-দ্বীপের ভিতর,
তেমনি দেখেছি তারে অন্ধকারে; বলেছে সে, এতদিন কোথায় ছিলেন? পাখির নীড়ের মতো চোখ তুলে নাটোরের বনলতা সেন।
আজ তেমনি এক বনলতা গল্প দিয়ে শুরুটা। যাকে খুব বেশি আলিঙ্গন করে জীবনানন্দ দাশের এই বিখ্যাত কবিতা সেই গল্পের নায়িকা মুন্সিগঞ্জের রিমা জুলফিকার।
নামের অর্থটা বেশ ঠিক তার মতই। সাদা হরিন/ শ্বেত হরিন
বাবা মরহুম আলম হোসেন এবং মাতা মরহুমা জরিনা হোসেনের ৬ কন্যা এবং ৪ পুত্রের মাঝে রিমা সকলের ছোট এবং বেশ আদুরী ছিলো।
বাবা তার প্রতিটি কাজের অনুপ্রেরণা। ছোটকাল থেকে খুব পরিপাটি ছিলো এবং সৃজনশীল কাজে খুব সাচ্ছন্দ্য বোধ করতো।মায়ের কাছ থেকে শিখেছেন কি করে নিজেকে সব কাজে নিয়োজিত করা যায় সুন্দর করে।
১৯৮৩ সালে এইচএসসি পড়াকালিন সময় নতুন জীবনে পা রাখেন জীবনসঙ্গী মইনদ্দিন জুলফিকার এর হাত ধরে। কিন্তু লক্ষ অটুট থেকে বিচলিত হয়নি চালিয়ে গেছেন লেখাপড়াও।
ছোট বেলার স্বপ্ন নিজে এমন কিছু করবে যাতে নারীরা স্বাবলম্বী হয় সেই স্বপ্ন বাস্তবতা রুপ নিলো ১৯৯০ সালে গৃহ সুখন নামে।
রিমার হাত ধরে ৭৩ হাজার নারী নিজেদের স্বনির্ভর করেন বিভিন্ন প্রশিক্ষণে দক্ষতা নিয়ে। ইউ এন ডি পি সহ বিভিন্ন বিদেশী সংস্থার মাধ্যমে তৃণমুল পর্যায়েও নারীদের সাবলম্বী করেছে ।
২০২৪ সালে এসেও সেই স্বপ্ন আজো মলিন হয়নি। চায় নিজে আরো কিছু করবে সমাজ এবং দেশকে ভালো কিছু উপহার দেওয়া আরো বাকী আছে।
নীল রঙটা বেশ প্রিয় সাথে শীত ও বসন্ত ঋতু ও মনের গহীনে লুকোচুরি খেলে।
রিমা মনে করে পৃথিবীটা খুব সুন্দর আর সেই সুন্দর কে সর্বদাই ইতিবাচক চোখে দেখতে হবে তাহলেই অনেক অসাধ্য কে জয় করা যাবে।
বধূ কোন আলো লাগলো চোখে গানটি গুনগুন করতে বেশ লাগে।
রিমা বহু নারীকে বৃত্তের ভেতর থেকে বের করে নিজেদের আত্নপরিচয় করতে সহযোগী ভূমিকা রেখেছে।
বকুল ফুলের মালার মত শুকিয়েও গিয়েও সকলের কাছে সুবাস ছড়িয়ে যেতে চায় তার কর্মের মাধ্যমে।
ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন
আপনার মতামত লিখুন: