• ঢাকা
  • রবিবার, ২৩ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ; ০৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

Advertise your products here

banner image
website logo

রাজধানীজুড়ে রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ি, দুর্ভোগে জনগন


ঢাকানিউজ২৪.কম ; প্রকাশিত: রবিবার, ৩০ জুন, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ০৯:৩৯ এএম
রাজধানীজুড়ে রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ি
দুর্ভোগে রাজধানীবাসী

নিউজ ডেস্ক : উন্নয়নে একদিকে সমন্বয়হীন রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ি, অন্যদিকে ভাঙাচোরা সড়ক বছরের পর বছর সংস্কার না করায় নাকাল রাজধানীবাসী। অসহনীয় পর্যায়ে চলতি বর্ষায় যা রূপ নিয়েছে ।

যানজট, জলাবদ্ধতা নিরসন ও অন্যান্য সেবামূলক উন্নয়ন কর্মকাণ্ড চালাতেই হবে। তবে এসব কর্মকাণ্ডে সিটি করপোরেশনসহ যেসব সেবামূলক প্রতিষ্ঠান রয়েছে, সেগুলোর মধ্যে কোনো সমন্বয়ই নেই। উন্নয়ন কর্মকাণ্ড পরিচালনা নিয়ে কারো দ্বিমত নেই।

সরেজমিন রাজধানীর গেণ্ডারিয়া রেলস্টেশন এলাকায় দেখা যায় অথই পানির রাজত্ব। সামান্য বৃষ্টিতে অন্য অনেক এলাকার মতো এই সড়কটিও চলে যায় পানির নিচে। কিন্তু বৃষ্টিতে জমে থাকা এই পানির থেকেও নাগরিকদের ভোগান্তির বড় কারণ খানাখন্দে ভরা ভাঙাচোরা সড়ক। বৃষ্টির পানিতে যা চোখে দেখা দায়। আর তাই একটু অসতর্ক হলেই নেমে আসে ভয়াবহ দুর্যোগ।
 
সাধারণ নাগরিকরা নিত্য ভোগান্তির জন্য নগর কর্তৃপক্ষের অব্যবস্থাপনা আর অবহেলাকে দায়ী করলেও বরাবরের মতোই ঠিকাদারের ওপর দায় চাপান জনপ্রতিনিধিরা।

রাজধানীর বুকে ক্ষতবিক্ষত সড়কের তালিকা করলে হয়তো প্রথম স্থান অধিকার করবে যাত্রাবাড়ীর দয়াগঞ্জ সড়কটি। প্রতিদিন হাজারো যানবাহন আর কয়েক লাখ মানুষের যাতায়াতের অন্যতম প্রধান এই রাস্তাটির বেহাল দশা কয়েক বছরের। গ্রীষ্মে ধুলার রাজ্য আর বর্ষায় পরিণত হয় ছোটখাটো ডোবা কিংবা নর্দমায়। কিন্তু দেখার যেন কেউ নেই।

শুধু দীর্ঘদিন সংস্কারবিহীন থাকা সড়কের দুর্গতিই নয়, এই ভরা বর্ষায়ও নতুন করে চলছে সড়ক খোঁড়াখুঁড়ি। এতে ভোগান্তি বেড়েছে কয়েক গুণ। সাধারণ মানুষ বলছেন এটি আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত ছাড়া আর কিছুই নয়।

এমন অব্যবস্থাপনার জন্য নগর কর্তৃপক্ষ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের অবহেলাকে দায়ী করলেও স্থানীয় সংসদ সদস্য আওলাদ হোসেন বলছেন, দায় এড়াতে পারে না সিটি করপোরেশন।

তিনি বলেন, ঢাকা মহানগরের সব উন্নয়নমূলক কাজের দায়দায়িত্ব সিটি করপোরেশনের। উন্নয়নমূলক কাজগুলো যথাসময়ে শেষ করে মানুষের ভোগান্তি দূর করতে হবে।
 
ওয়ার্ড কাউন্সিলর কাজী হাবিবুর রহমান বলেন, ‘আমরা যে ঠিকাদারকে কাজ দিয়েছি, সে-ই কাজ লেনদি করে। আর বদনামের ভাগীদার হতে হয় আমাদের।’

একে অপরকে দোষারোপ না করে সংকটমুক্তির জন্য আন্তঃসংস্থার সমন্বয় ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতের ওপর জোর দিচ্ছেন নগরবিদরা।

নগরবিদ স্থপতি আদিল মো. খান বলেন, যতক্ষণ-না পর্যন্ত আমরা বাধ্য করতে পারব সমন্বিত ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে সড়ক খনন হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত সংস্থাগুলো নামমাত্র ফি-র বিনিময়ে এই রাস্তা কাটতেই চাইবে। এতে জনগণের চরম ভোগান্তি হচ্ছে আর ট্যাক্সের টাকা হরিলুট হচ্ছে।

বর্তমানে ঢাকায় এমন ক্ষতবিক্ষত সড়কের পরিমাণ বলা হচ্ছে অন্তত ৩০০ কিলোমিটার।

ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন

আরো পড়ুন

banner image
banner image