নিউজ ডেস্ক : মুন্সীগঞ্জ গজারিয়ার হোসেন্দীর সিকিরগাঁওয়ে সুপার বোর্ড কারখানায় ভয়াবহ আগুনে কয়েক কোটি টকার সম্পদ পুড়ে গেছে। ফায়ার সার্ভিসের ১২টি ইউনিট এবং আরও দুটি জাহাজ চেষ্টা করেও আগুন নেভাতে পারেনি। প্রায় ৫ ঘণ্টা পর বৃষ্টি নামলে আগুন কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসে।
রোববার (২৪ মার্চ) দুপুরে জ্বলছে সুপার বোর্ড ফ্যাক্টরি। নদীর তীরঘেষা ফ্যাক্টরিটি আগুন থেকে রক্ষায় অনেক উপকরণ মেঘনা নদীতে ফেলে দেয়া হয়, সেখানেও আগুন। আগুনের লেলিহান শিখা নদীতেও। ফ্যাক্টরির পাশে থাকা পাটখড়ি বোঝাই বিশাল ট্রলারেও আগুনের শিখা।
কর্তৃপক্ষ বলছে, ২০১৩ সালে এই কারখানায় লাগা আগুন পুরোপুরি নেভাতে সময় লাগে ৫ দিন। এদিকে আগুনের কারণ উদ্ঘাটনে জেলা প্রশাসন ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।
ফায়ার সার্ভিসের ১২টি ইউনিটের সঙ্গে নদী থেকে দুটি জাহাজও আগুন নেভাতে যোগ দেয়। টানা পৌনে ৫ ঘণ্টা চেষ্টার পর অঝোর ধারায় চৈত্রের আকাশ ভেঙে বৃষ্টি শুরু হলে আগুন কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে আগুন নেভানো সম্ভব হয়নি।
কর্তৃপক্ষ মনে করছে, কাঠের গুঁড়া ও পাটের খড়ি দিয়ে তৈরি সুপার বোর্ডের বড় বড় স্তূপ থাকায় আগুন দীর্ঘস্থায়ী হবে। এদিকে আগুনের কারণ উদ্ঘাটনে জেলা প্রশাসন এডিএমকে প্রধান করে ৫ সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। এই কমিটি ৭ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করবে।
১২টি ইউনিট প্রায় ৫ ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়েছে, পরে বৃষ্টি নামলে আগুন কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসে বলে বলেছেন, ফায়ার সার্ভিসের উপপরিচালক সালেহ উদ্দিন।
টিকে গ্রুপের পরিচালক মো. সাইফুল আতাহার তাসলিম জানান, বৃষ্টিতে আগুন কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এসেছে। তবে এখনও থেমে থেমে আগুন জ্বলছে। কাঠের গুঁড়া ও পাটের খড়ির আগুন হওয়ায় পুরোপুরি নিভতে সময় লাগতে পারে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ফ্যাক্টরির মাঝামাঝি স্থানে দুপুর ১টার দিকে আগুন লাগে। এরপরই কর্মীরা ছুটাছুটি শুরু করে। আগুন নেভানোর নিজস্ব চেষ্টা ব্যর্থ হলে ব্যাপকভাবে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। আগুনের মধ্যেও পানি ছড়িয়ে দিয়ে ছোট ছোট ক্রেনযুক্ত গাড়িতে করে কিছু মালামাল সরানোর চেষ্টা করা হয়।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিদেশে রফতানিসহ দেশব্যাপী ব্যাপক চাহিদার এই সুপার বোর্ড কারখানাটিতে কয়েক কোটি টাকা ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন
আপনার মতামত লিখুন: