• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ; ০৩ মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

Advertise your products here

banner image
website logo

সারাদেশে বইছে তীব্র তাপদাহ


ঢাকানিউজ২৪.কম ; প্রকাশিত: শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১২:০৩ পিএম
তাপ
তাপ প্রবাহের প্রতীকী ছবি

নিউজ ডেস্ক: গত সপ্তাহে উপকূলীয় খুলনা ও উত্তর রাজশাহী বিভাগকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করা তীব্র তাপপ্রবাহ শুক্রবার ঢাকা বিভাগে ছড়িয়ে পড়ে আজ তাপমাত্রা আরও বৃদ্ধির পূর্বাভাস রয়েছে।

শুক্রবার বিকেল ৩টায় টাঙ্গাইলে দিনের তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছেছে, বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, ফরিদপুর ও গোপালগঞ্জে দিনের তাপমাত্রা ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়েছে।আগের দিনের তুলনায় শুক্রবার ঢাকার দিনের তাপমাত্রা প্রায় ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ৩৮.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেড়েছে।

 দিনের তাপমাত্রা ৪০C থেকে ৪২C এর মধ্যে থাকলে একটি তীব্র তাপপ্রবাহ ঘটে।

চুয়াডাঙ্গায় বাংলাদেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪১.৫ সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে, যেখানে শুক্রবার টানা চতুর্থ দিনের মতো তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।

বিএমডি জানিয়েছে, শুক্রবার পুরো খুলনা বিভাগ এবং রাজশাহী ও পাবনা জেলায় তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে গেছে।

অপরদিকে বরিশাল বিভাগ, ঢাকা ও রাজশাহী বিভাগের বাকি অংশ এবং চাঁদপুর ও মৌলভীবাজার জেলার ওপর দিয়ে তাপমাত্রা ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।

বর্ধিত আর্দ্রতার অনুপ্রবেশ আজ তাপ এবং অস্বস্তির অনুভূতিকে আরও খারাপ করতে পারে, বিএমডি সতর্ক করেছে।

অত্যধিক তাপের ক্রমাগত এক্সপোজারের ফলে তাপের চাপ হতে পারে যা মানবদেহের অভ্যন্তরীণ তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে।

দুপুর ১২টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ঘরের ভেতরে থাকার এবং দিনে দুই থেকে তিন লিটার পানি পান করার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা।

কিন্তু সবাই উপদেশ মানতে পারে না। 

শহর ও শহরে শত শত গৃহহীন পরিবার সূর্যের নীচে জ্বলন্ত তাপের সংস্পর্শে বাস করে।

ধাতব রাস্তা দ্বারা বিচ্ছুরিত তাপ হাজার হাজার রিকশাচালকের জীবনকে অসহনীয় করে তুলেছে, যারা তাদের দিন বেশিরভাগ খোলা আকাশের নীচে কাটায়, কোন ছায়া দ্বারা সুরক্ষিত নয়।

রাজশাহীতে ঢাকানিউজ২৪ডটকম সংবাদদাতা জানান, চলতি মৌসুমে জেলায় এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল।

শুক্রবার বিকেল ৩টায় জেলায় দৈনিক সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

স্থানীয় আবহাওয়াবিদরা সতর্ক করেছেন, আগামী দিনে জেলায় ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা কম থাকায় তাপপ্রবাহ আরও বাড়তে পারে।

এদিকে, প্রচণ্ড তাপপ্রবাহে ডায়রিয়াসহ নানা স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দিচ্ছে, অন্যদিকে বৃষ্টির পানির অভাবে প্রায় সব এলাকায় আম ও লিচুর মুকুল ঝরে পড়ছে।

গত বছর, ১৭ এপ্রিল ছিল উষ্ণতম দিন যখন পাবনায় দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

বিদ্যুৎ বিপর্যয় জীবনকে দুর্বিষহ করে তুলেছে, বিশেষ করে কৃষকদের যাদের বোরো ক্ষেতে ভূগর্ভস্থ পানি তুলে সেচ দিতে হয়।

শুক্রবার, ১৪১৫০ মেগাওয়াটের চাহিদার বিপরীতে ১৯৪৩৪ মেগাওয়াট উত্পন্ন সহ ৬৮৪ মেগাওয়াটে লোডশেডিং সকাল 1:00-এ শীর্ষে পৌঁছেছে।

১১ এপ্রিল সাধারণ ছুটির মধ্যে ঈদুল ফিতর উদযাপনের দিন থেকে বিদ্যুতের চাহিদা বেড়েছে ৩৫০০ মেগাওয়াটের বেশি।

চলতি মাসের মধ্যে বিদ্যুতের চাহিদা আরও ৪ হাজার মেগাওয়াট বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে।

ঢাকানিউজ২৪.কম / এসডি

আরো পড়ুন

banner image
banner image