• ঢাকা
  • শুক্রবার, ৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ; ২৪ মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

Advertise your products here

banner image
website logo

চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় স্পাই ডিভাইজের অপব্যবহার


ঢাকানিউজ২৪.কম ; প্রকাশিত: সোমবার, ১৩ মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১১:১৯ এএম
চাকরির নিয়োগ পরীক্ষা, স্পাই ডিভাইজ, প্রশ্নপত্র ফাঁস

নিউজ ডেস্ক :   চাকরির নিয়োগ পরীক্ষা শুরুর আগে কোনও না কোনও কেন্দ্রকে ম্যানেজ করতো একটি চক্র। ওই কেন্দ্র থেকে প্রশ্নের ফটোকপি হোয়াটসঅ্যাপে পাঠানো হতো চক্রের সদস্যদের কাছে। পাঁচ মিনিটের মধ্যে সেই প্রশ্নের সমধান করে ফেলতো প্রশ্ন সমাধান টিম। এরপর তারা উত্তরগুলো পরীক্ষার্থীদের বলতে থাকতো। নারী পরীক্ষার্থীদের অন্তর্বাস এবং ছেলেদের গেঞ্জির মধ্যে লুকানো থাকতো ডিজিটাল ডিভাইস। একইসঙ্গে পরীক্ষার্থীর কানে রাখা হতো ক্ষুদ্রাকৃতির বল। পকেটের মধ্যে থাকতো একটা রাউটার। বাইরে থেকে যখনই টেলিফোন করতো সঙ্গে সঙ্গে পরীক্ষার্থী শুনতে পারতো এবং ১০ মিনিটের মধ্যে প্রশ্নের সমাধান করে পরীক্ষা শেষ করতো।

রবিবার (১২ মে) রাজধানীর মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে সাংবাদিকের সব কথা বলেন ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান হারুন অর রশীদ।

এর আগে, ওই চক্রের সাত সদস্যকে গ্রেফতার করেছে ডিবি। গ্রেফতার ব্যক্তিরা হলো মো. জুয়েল খান (৪০), মো. রাসেল (৩০), মো. মাহমুদুল হাসান শাকিল (৩৯), মো. আব্দুর রহমান (৩৮), মো. আরিফুল ইসলাম (৩৫), মো. আজহারুল ইসলাম (২৯) এবং মো. মাসুম হাওলাদার (২৫) তাদের কাছ থেকে বিশেষভাবে প্রস্তুত করা ১০টি ডিজিটাল ইলেকট্রনিক স্পাই ডিভাইস, সাতটি মোবাইল ফোন, ১০টি সিম কার্ড এবং একটি পকেট রাউটার উদ্ধার করা হয়।

হারুন অর রশীদ জানান, বিভিন্ন চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস করে অত্যাধুনিক ডিজিটাল ডিভাইসের মাধ্যমে প্রশ্নে উত্তর জানিয়ে দিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিতো চক্রটি।

ডিবির এই কর্মকর্তা বলেন, ‘আসামিদের হোয়াটসঅ্যাপ মেসেঞ্জারের বার্তা পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, চক্রের সদস্যরা প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ (তৃতীয় ধাপ); বাংলাদেশ রেলওয়ের টিকিট কালেক্টর (গ্রেড ) বুকিং অ্যাসিসটেন্ট (গ্রেড ); পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের অফিস সহায়ক, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, টাঙ্গাইলের অফিস সহায়ক; মৎস বিভাগের অফিস সহায়ক; গণপূর্তের হিসাব সহকারী অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক; দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতরের অফিস সহায়ক; ভূমি মন্ত্রণালয়ের সাট মুদ্রাক্ষরিক কাম কম্পিউটার অপারেটর; বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি রিমিডেডের সহকারী ব্যবস্থাপকসহ আরও বিভিন্ন চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় উল্লিখিত উপায়ে অপরাধ সংঘঠিত করেছে।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের তথ্য জানিয়ে তিনি বলেন, গ্রেফতার আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে দীর্ঘদিন ধরে মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার জন্য প্রার্থীদের সঙ্গে চুক্তি করতো। চাকরি ভেদে এমসিকিউ লিখিত পরীক্ষায় টিকিয়ে দিতে থেকে লাখ এবং লিখিত ভাইভা পরীক্ষার জন্য থেকে ১০ লাখ টাকা পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে নিতো।

ডিএমপির গোয়েন্দাপ্রধান বলেন, চক্রের মূল হোতা জুয়েল খান। সে ডিভাইস সংগ্রহ সরবরাহ, প্রশ্নপত্র সংগ্রহ, সমাধান টিমের সদস্য সংগ্রহ চক্রের অন্যদের সঙ্গে সমন্বয় করতো। রাসেল, মাহমুদুল হাসান শাকিল আব্দুর রহমান পরীক্ষার্থী সংগ্রহ এবং পরীক্ষার্থীদের কাছে ডিজিটাল ইলেকট্রনিক স্পাই ডিভাইস পৌঁছে দেওয়ার পাশাপাশি ডিভাইসটি কীভাবে ব্যবহার করতে হবে তার বিস্তারিত ব্যবহার শিখিয়ে দিতো। আরিফুল ইসলাম কেন্দ্রে পরীক্ষা শুরু হওয়ার পর সুবিধামতো সময়ে প্রশ্নপত্রের ছবি তুলে হোয়াট্সঅ্যাপে চক্রের অন্য সদস্যদের কাছে পৌঁছে দিতো। সমাধান টিম অতি দ্রুত সেই প্রশ্নের সমাধান করে নির্ধারিত পরীক্ষার্থীদের কাছে পৌঁছে দিতো।

তিনি বলেন, ১০ দিনের রিমান্ড আবেদনসহ আসামিদের আদালতে পাঠানো হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় মামলা রয়েছে। চক্রের পলাতক সদস্যদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত।

ঢাকানিউজ২৪.কম / 11

আরো পড়ুন

banner image
banner image