নিউজ ডেস্ক: কানাডার স্কারবরোর কপিং রোডে কবির চলে যাওয়ার দিনটি স্মরণ করে তার স্বজন ও ভক্তদের কথায়, কবিতায়, সঙ্গীতে কবির সঙ্গে যুক্ত হওয়ার ইচ্ছায় কবি আসাদ চৌধুরীর স্মরণসভা ও মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হয়েছে। আবৃত্তিকার ও সংগঠক হিমাদ্রী রায়ের সঞ্চালনায় সূচনা সঙ্গীত পরিবেশন করেন মৈত্রেয়ী দেবী ও শিখা আখতারি আহমাদ।
তোমাদের যা বলার ছিলো, বলছে কি তা বাংলাদেশ’। কবির কর্ম ও কণ্ঠযোদ্ধা আসাদ চৌধুরীর ওপর আলোকপাত করেন কবি দিলওয়ার এলাহী।
সাংস্কৃতিক সংগঠক আরিয়ান হক নজরুল রচিত ভক্তিগীতির পরিবেশনায় আলয় যখন শান্ত স্নিগ্ধ তারপর একে একে স্মৃতিচারণ করেন সেলিনা সিদ্দিকী, কথাসাহিত্যিক সালমা বাণী, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব আসমা আহমেদ, সাংস্কৃতিক সংগঠক শাপলা শালুক, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব আমিন মিয়া, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব সুমন রাহমান, কবি কন্যা নুসরাত জাহান চৌধুরী ও কবি পুত্র আসিফ চৌধুরী।
কবি আসাদ চৌধুরীর সাহিত্যকর্ম ও মানুষ আসাদ চৌধুরীর ওপর দীর্ঘ বক্তব্য দেন কবি দিলারা হাফিজ। কবিকে নিয়ে তিনি স্বরচিত কবিতা আবৃত্তি করে শোনান।
তিনি কবিপত্নী কবি সাহানা চৌধুরীকে সবার উদ্দেশে কিছু বলতে বলেন। কবি দেলওয়ার এলাহী কবি দিলারা হাফিজকে সভানেত্রী মনোনীত করে কবি আসাদ চৌধুরী স্মৃতি পর্ষদের ঘোষণা দেন। শহরের সবাইকে নিয়ে এর পরিধি বাড়িয়ে এক সঙ্গে কাজ করার আশা প্রকাশ করেন।
কবি পরিবার ও উপস্থিত ভক্তরা তা সর্বসম্মতভাবে গ্রহণ করেন। আলোকিত উপস্থিতি ছিলো রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ও সাংস্কৃতিক পৃষ্ঠপোষক ফাইজুল করিম ও জাকির হোসেন। উপস্থিত ছিলেন আবৃত্তিকার দিলারা নাহার বাবু ও এলিনা মিতা, কবির প্রিয় মুখ রতন রায়, গৌতম শিকদার, গ্যারী খ্রিস্টোফার রোজারিও। শিখা আখতারি ও আসিফ চৌধুরীর সঙ্গীতে মধ্যরাতে সব কবি ভক্তরা তাদের স্পন্দনে কবি আসাদ চৌধুরীর উপস্থিতি নিয়ে ঘরে ফেরেন।