সুমন দত্ত: বাংলাদেশ পোস্টম্যান ও ডাক কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আমজাদ আলী খানের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ও মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছে ইউনি গ্লোবাল ইউনিয়ন বাংলাদেশ লিয়াজো কাউন্সিল (ইউএনআইবিএলসি) ও ডাক বিভাগের কর্মচারীরা। সংবাদ সম্মেলনে অংশ নেয়া বক্তারা আমজাদ আলী খানের নি:শর্ত মুক্তি দাবি করে বিবৃতি দেন।
এদিন সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী পরিষদের মহাসচিব নিযামুল ইসলাম ভূঁইয়া, ইউনি গ্লোবাল ইউনিয়ন বাংলাদেশ লিয়াজো কাউন্সিলের নির্বাহী সম্পাদক এ কে এম মোস্তফা কামাল। একই সংগঠনের আমিরুল হক আমিন, ফজলুল হক, আফজালুর রহমান, গোলাম মাহমুদ সোহাগ, দেলোয়ার হোসেন,কামরুল হাসান, আবদুল মোতালিব, খোরশেদ আলম প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলনে এ কে এম মোস্তফা কামাল কি-নোট পড়ে শোনান। তিনি বলেন, শ্রমিক নেতা তথা শ্রমিকদের কণ্ঠস্বর আমজাদ আলী খান একজন সৎ শ্রমিক নেতা। তিনি জৈব সার কোম্পানির মানি অর্ডার জালিয়াতির বিরুদ্ধে রেজুলেশন প্রদানসহ কর্মচারীদের ন্যায় সংগত দাবী বাস্তবায়নে আন্দোলন কর্মসূচীতে থাকায় তার বিরুদ্ধে মিথ্যা ষড়যন্ত্রমূলক মামলা করে তাকে কারাগারে আটকে রাখা হয়েছে। আমরা তার এই আটকাদেশের বিরুদ্ধে নিন্দা জানাই। অবিলম্বে তার নি:শর্ত মুক্তি দাবি করছি।
নিযামুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, আমজাদ আলী খান বিভিন্ন সময় ডাক বিভাগের ইস্যুতে সরব থাকতেন। ডাক বিভাগ মতিঝিল থেকে সরিয়ে আগারগাও নিয়ে যাওয়ার প্রতিবাদ তিনি করেছেন। নগদ নামের একটি সেবা ডাক বিভাগের নামে চালানো হলেও এর থেকে কোনো সুবিধা ডাক বিভাগ পায় না। এসবের প্রতিবাদ করেন তিনি। আর এতে ক্ষিপ্ত হয় একটি চক্র। তাদের ইশারায় আমজাদ আলী খানকে গ্রেফতার করে র্যাব। তিনি আরো বলেন, জৈব সার পার্সেল কেলেঙ্কারিতে যাদের নাম এসেছে তাদের সঙ্গে কোনো যোগসাজশ ছিল না আমজাদ আলী খানের। তারপরও চক্রান্ত করে ওই ঘটনায় আমজাদ আলী খানের নাম জড়ানো হয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা চাই দুর্নীতিবাজদের বিচার হোক। আমরা কোনো দুর্নীতিবাজের পক্ষে নই। আমজাদ আলী খান সত্যিই যদি দুর্নীতি করে থাকেন তবে তার বিচার হবে। কিন্তু আমরা দেখছি একটি চক্র আমজাদ আলীকে ৪-৫ মাস পূর্বে করা এক মামলার রেফারেন্সে র্যাব দিয়ে তাকে গ্রেফতার করে।। যা মিথ্যা ও চক্রান্তমূলক মনে হয়েছে আমাদের। কারণ ওই মামলার এজাহারে আমজাদ আলী খানের নাম ছিল না। সেই মামলায় যাদের গ্রেফতার করা হয়েছিল তাদের কাছ থেকে জবরদস্তিমূলক জবানবন্দি নিয়ে আমজাদ আলী খানকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এ কে এম মোস্তফা কামাল বলেন, জৈব সার মানে গোবর জাতীয় বস্তু বিশেষ। যা দুর্গন্ধময়। ডাক বিভাগ দুর্গন্ধযুক্ত কোনো মাল পরিবহন করে না। এটা ডাক বিভাগের রুলস রেগুলেশনের বাইরে। তারপরও এই মাল পরিবহন নিয়ে একটি অনিয়ম হলে তা সবার সামনে আনেন আমজাদ আলী খান। আর এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে একটি চক্র তার বিরুদ্ধে নেমে পড়ে। জনাব আমজাদ আলী খান শ্রম আদালতের একজন গেজেট ভূক্ত সদস্য। তিনি জুরির দায়িত্ব পালন করেছেন। তার বিরুদ্ধে এমন আচরণে আমরা সবাই হতাশ হয়েছি। তার নিঃশর্ত মুক্তি কামনা করছি।
সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্ন করা হয় ডাক বিভাগে সঞ্চয়পত্রের সেবা দিয়ে থাকে। সেটা থেকে ডাক বিভাগ কোনো সুবিধা পায় কিনা। জবাবে সুবিধা পান বলে জানান তারা। কিন্তু নগদ নামে যে সার্ভিস দেয়া হয় এর কাছ থেকে ডাক বিভাগ কিছুই পায় না। এটা একটা প্রাইভেট কোম্পানি বলেন তারা।
ঢাকানিউজ২৪ডটকম