নিউজ ডেস্ক: মাদকাসক্তি চিকিৎসা সেবার মানউন্নয়নে সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন। মাদকনির্ভরশীলদের চিকিৎসায় সমম্বিত প্রচেষ্টায় চিকিৎসক দের সাথে সম্পৃক্ত থাকতে হবে মনরোগ বিশেষজ্ঞসহ কাউন্সিলর, দক্ষ রিকভারী অর্থাৎ সুস্থ্যতা প্রাপ্ত মাদক নির্ভরশীল, পিয়ার কাউন্সিলর, সোশ্যাল ওয়ার্কারসহ অন্যন্য ব্যক্তিবর্গের। মাদকাসক্তি চিকিৎসা ও পুনর্বাসন কেন্দ্রের নেটওয়ার্ক সংযোগ ও নারকব এর উদ্যোগে জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হল এ ”বর্তমান প্রেক্ষিতে মাদকাসক্তি চিকিৎসা ও পুনর্বাসন শীর্ষক” এক আলোচনা সভায় জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনিস্টিটিউটের মনোচিকিৎসক সহযোগি অধ্যাপক ডা: হেলাল আহমেদ এ কথা বলেন।
উক্ত সভায় বক্তারা বলেন, দ্রুত চিকিৎসা বিধিমালা সংশোধনের প্রয়োজন এবং এইখাতকে অগ্রাধীকারের আওতায় নিয়ে চিকিৎসার মূলধারার সাথে সম্পৃক্ত করা প্রয়োজন। কারণ মাদক নির্ভরশীলদের চিকিৎসা ও পুনর্বাসন একটি জটিল বিষয়।
বিশ্বের যে প্রান্তের মাদক নির্ভরশীলদের চিকিৎসার দিকে দৃষ্টি দেই না কেন, সেখানে দেখা যায় প্রতিটি মাদক নির্ভরশীল ব্যক্তিই ভিন্ন প্রকৃতির সমস্যা ওজটিলতার মধ্য দিয়ে যায়। তাই চিকিৎসা রোগীর ধরণ অনুসারে ভিন্ন ভিন্ন হয়। একটা সমন্বিত দল মাদক নির্ভরশীলদের চিকিৎসা সেবা প্রদান করে থাকে।
ছবিটি আজ জাতীয় প্রেস ক্লাব থেকে তোলেন জেসমিন জুঁই
সবার প্রচেষ্টায় একজন মাদক নির্ভরশীল ব্যক্তিকে সুস্থ্য করে তোলা হয়। এইচিকিৎসায় পেশাজীবি সংকট এবং চিকিৎসা সম্পর্কে সঠিক প্রশিক্ষণ ও মানুষের মাঝে নানা রকম ভুল ধারণার জন্য সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান সঠিক ভাবে চিকিৎসা প্রদানে সক্ষম হয় না। পাশাপাশি মাদক নির্ভরশীলদের চিকিৎসা ও পুনর্বাসনকে সরকারী পৃষ্ঠপোষকতা প্রদান করতে হবে।
ড. পিটার হালদার সংযোগের উপদেষ্টা সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কেন্দ্রীয় মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রের সাবেক আবাসিক মনোচিকিৎসক ডা. আকতারুজ্জামান সেলিম,
রিলাইফের পরিচালক বকুল ফ্রান্সিস কস্তা, সংযোগের সহ-সভাপতি শফিকুর রহমান খোকন, ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের পরিচালক এবং সংযোগ সভাপতি ইকবাল মাসুদ সভাটি সঞ্চলনা করেন।