ভারতে করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় শনিবার টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়েছে। উদ্বোধন করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
মোদী জনগণকে স্মরণ করিয়ে দেন টিকার দুটি ডোজই খুবই গুরুত্বপূর্ণ। একইসঙ্গে মাস্ক পরা ও শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখার কথাও উল্লেখ করেন তিনি।
টিকাদান কর্মসূচি শুরুর মানে এই নয় যে আমরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা বন্ধ করে দিবো। আমাদের নিয়মিত মাস্ক ব্যবহারের পাশাপাশি শারীরিক দুরত্বও বজায় রেখে চলতে হবে।’
ভাষণকালে তিনি রুদ্ধ কন্ঠে ভাইরাস সংক্রমণে প্রাণ হারানো শত শত স্বাস্থ্যকর্র্মী ও সম্মুখ সারির কর্মীদের স্মরণ করেন।
এছাড়া টিকাদানকালে ধৈর্য ধরতে তিনি দেশবাসীর প্রতিও আহ্বান জানান।
এর আগে গত ৩ জানুয়ারি সিরাম ইনষ্টিটিউটের তৈরী ‘কোভিশিল্ড’ এবং ভারত বায়োটেকের তৈরী ‘কোভ্যাক্সিন’ নামের দ’ুটি টিকা ব্যবহারে জরুরি অনুমোদন দেয় দেশটির অষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
ভারতের এ টিকাদান কমূসূচি বিশ্বের মধ্যে বৃহৎ । টিকাদান কর্মসূচির অংশ হিসেবে সব রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলোতে ৩,০০৬ টি টিকাদান কেন্দ্র গড়ে তোলা হয়েছে। ইতোমধ্যে এসব কেন্দ্রে টিকা সরবরাহ করা হয়েছে।
ঝুঁকি বিবেচনায় প্রথম দফায় টিকা পেতে যাচ্ছে সরকারি এবং বেসরকারি পর্যায়ের তিন লাখ স্বাস্থ্যকর্মী। তাদের টিকা দেয়ার খরচ বহন করবে কেন্দ্রীয় সরকার।
এদিকে, সরকারের টিকাদান কর্মসূচির নীতিমালা অনুযায়ী ১৮ বছরের নিচের কোনো শিশু এবং গর্ভবতী নারীরা এই কার্যক্রমের আওতায় পড়বে না।