নিউজ ডেস্ক: নতুন বছরে নতুন জাতীয় সংগীত গাইবে অস্ট্রেলিয়ার নাগরিকরা। বৃহস্পতিবার বছরের শেষ দিন এই ঘোষণা দিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন।
প্রধানমন্ত্রীর এই ঘোষণা দেশবাসীকে অবাক করেছে সত্যি। তবে সবাই বিষয়টিকে ইতিবাচক হিসেবে নিয়েছে। অস্ট্রেলিয়ানরা একে স্বাগত জানিয়েছে। কারণ অস্ট্রেলিয়ার একটি নিজস্ব সভ্যতা ও সংস্কৃতি ছিল। যা ১০ হাজার বছর পুরানো। তাদের নিজস্ব ভাষা ছিল।
১৮ শতকে ব্রিটিশরা অস্ট্রেলিয়ায় বাস করতে শুরু করে। তখন থেকে অস্ট্রেলিয়ার আদি বাসিন্দারা ও তাদের সংস্কৃতি অবহেলিত হতে থাকে।
বিষয়টি বর্তমান অস্ট্রেলিয়ান প্রজন্মকে নাড়া দিলে তারা দেশকে একটি ঐক্যবদ্ধ জাতিতে পরিণত করতে উদ্যোগী ভূমিকা পালন করে। তারই ফলশ্রুতি অস্ট্রেলিয়ার এই নতুন জাতীয় সংগীত। নতুন জাতীয় সংগীতে অস্ট্রেলিয়া আদি সভ্যতাতে গর্বের সঙ্গে স্মরণ করা হয়েছে।
তাই প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন বলেন, নতুন জাতীয় সংগীত দেশকে ঐক্যবদ্ধ করবে।
নতুন জাতীয় সংগীতে অস্ট্রেলিয়া “আমরা তরুণ ও স্বাধীন”। এই লাইনের পরিবর্তে বসেছে আমরা সবাই এক ও স্বাধীন।
গত ডিসেম্বরে জাতীয় দলের এক রাগবি খেলোয়াড় অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় সংগীত আদি ভাষায় গাইলে সবার দৃষ্টি আকর্ষণ হয় সেই ঘটনায়।
জাতীয় সংগীত পরিবর্তনকে সমর্থন জানিয়েছে অস্ট্রেলিয়া পার্লামেন্টের বিরোধী দল।
বিরোধী দলের নেতা অ্যান্থনি আর বেনিস বলেন, দেশের আদি সভ্যতা ও সংস্কৃতিকে রাজনৈতিকভাবে স্বীকৃতি দিয়ে জাতিকে গর্বিত করা হয়েছে। আমাদের একটি প্রাচীন সভ্যতা আছে এটা সবাই জানলো আজ থেকে।
ঢাকানিউজ২৪ডটকম/এসডি