এ বিষেয়ে আজ শনিবার বিএসএমএমইউ’র উপাচার্য অধ্যাপক কনক কান্তি বড়ুয়া গণমাধ্যমকে বলেন, ‘এখনো পরীক্ষার কাজ শেষ হয়নি। ডাটা প্রসেসের কাজ চলছে। রেজাল্ট হলে আমাকে জানাবে। তারপর আমরা জমা দেব। আশা করছি, এই সপ্তাহ শেষে রিপোর্ট জমা হবে।’
এদিকে করোনাভাইরাস শনাক্তের গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের উদ্ভাবিত ‘জিআর র্যাপিড ডট ব্লট’ কিটের কার্যকারিতা পরীক্ষা এখন স্থগিত রয়েছে। গত মঙ্গলবার গণস্বাস্থ্যের পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধু মেডিকেলকে একটি চিঠি দিয়ে অ্যান্টিজেন কিটের পরীক্ষা আপাতত স্থগিত রাখতে বলা হয়। এ প্রসঙ্গে অধ্যাপক কনক কান্তি বলেন, ‘অ্যান্টিজেন্ট কিট তো গণস্বাস্থ্য স্থগিত করে নিয়েছে। শুধু অ্যান্টিবডি কিটের পরীক্ষার রিপোর্ট জমা হবে।’
প্রসঙ্গত, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের কিট হস্তান্তর নিয়ে শুরু থেকে নানা টানাপড়েন শুরু হয়। অনেক বিতর্কের পরে গত ৩০ এপ্রিল ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর থেকে বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে বা আইসিডিডিআর,বি-তে উদ্ভাবিত কিটের কার্যকারিতা পরীক্ষার জন্য অনুমিত দেওয়া হয়। এরপর গত ১৩ মে কিটের কার্যকারিতা পরীক্ষার জন্য বিএসএমএমইউতে প্রথম দফায় কিট জমা দেয় গণস্বাস্থ্য। একইসঙ্গে পরীক্ষা খরচ বাবদ ৪ লাখ ৩৫ হাজার টাকা জমা দেয় তারা। এরপরও কিটের কার্যকারিতা পরীক্ষার অগ্রগতি না হওয়ায় হতাশা প্রকাশ করে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র।