নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশের উপকূলের দিকে ধেয়ে আসা সুপার সাইক্লোন ঘুর্ণিঝড় ‘আম্পান’এর কারণে উপকূলীয় অঞ্চলের ২২ লাখ মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান।
তিনি বলন, ‘পরিস্থিতি দেখে আগামীকাল বুধবার সকাল ৬টায় মহাবিপদ সংকেত দেওয়া হতে পারে। এরপর আর কাউকে আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়া কঠিন হবে। আমাদের প্রধান লক্ষ্য ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার মানুষদেও আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে আসা। ইতোমধ্যে বিপুল সংখ্যক মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে আনা হয়েছে। রাতের মধ্যেই সবাইকে আশ্রয়কেন্দ্রে আনতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এনামুর রহমান বলেন, ‘চলমান করোনা পরিস্থিতির মধ্যেই ঘূর্ণিঝড় ‘আম্পান’ আসছে বাংলাদেশের দিকে। ঝড়ের সর্বোচ্চ গতি এখন ঘণ্টায় ২৪৫ কিলোমিটার। তাই এটিকে সুপার সাইক্লোন বলা হচ্ছে। আমরা উপকূলসহ ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় যারা আছেন তাদের আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে আসার কাজটি করছি। বুধবার সকাল ৬টা থেকে মহাবিপদ সংকেত দেখানো হতে পারে।’
প্রস্তুতির বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি। কোন জেলায় কতজনকে আশ্রয় কেন্দ্রে নেওয়া হয়েছে তা কন্ট্রোল রুম থেকে জানছি। এখন আমাদের প্রধান লক্ষ্য হলো উপকূলবাসী যারা ঝুঁকিপূর্ণ ঘরবাড়িতে অবস্থান করছেন তাদের আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে আসা। সোমবার (১৮ মে) থেকে এ কাজ শুরু হয়েছে। আজ রাতের মধ্যে উপকূলবাসীদের আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে আসার জন্য নির্দেশনা দিয়েছি।
এনামুর রহমান জানান, আগামীকাল সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে ঘূর্ণিঝড়টি উপকূল অতিক্রম করবে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় তাদের পক্ষ থেকে সকল চিকিৎসার ব্যবস্থা নিয়েছে। আর নৌবাহিনী উপকূলের মানুষকে নিরাপদে আনার জন্য সহযোগিতা করছে এবং সকল বড় জাহাজগুলো নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এছাড়াও করোনাভাইরাসের জন্য সেনাবাহিনীর যেসব সদস্য মাঠে কাজ করছে তারাও ঝুঁকিতে থাকা মানুষদের আশ্রয়কেন্দ্রে আনতে সহায়তা করছেন।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা প্রতিমন্ত্রী জানান, মোট ১২ হাজার ৭৮টি আশ্রয়কেন্দ্র রয়েছে, যেখানে ৫১ লাখ ৯০ হাজার ১৪৪ জনকে রাখা যাবে। কিন্তু করোনা ভাইরাসের কারণে ২০ থেকে ২২ লাখ মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে রাখা হবে। আর আশ্রয়কেন্দ্রে আনাদের মধ্যে ১ মিটার দূরত্ব নিশ্চিত করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
মেডিকেল টিম ওষুধপত্র নিয়ে প্রস্তুত আছে জানিয়ে তিনি বলেন, চর এলাকা থেকে লোকজনদের নিয়ে আসতে নৌবাহিনী কাজ করছে। সেনাবাহিনীর সদস্যরাও লোকজনদের আশ্রয়কেন্দ্রে নিতে সহযোগিতা করছেন। এছাড়া সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোও তৎপর রয়েছে। মাছধরা নৌকাগুলো নিরাপদে অবস্থান করছে।