পরবর্তীতে শুরুর ধাক্কাটা সামলে উঠার চেষ্টা করেন আরেক ওপেনার ইমরুল কায়েস ও মুশফিকুর রহিম। তৃতীয় উইকেটে ৪৯ রান যোগ করেন ইমরুল ও মুশফিক। মুশফিকের ১৫ রানে বিদায়ের পর ইমরুলের সাথে ৭১ রানের জুটি দলকে ভালো স্কোর গড়ার পথ দেখান মোহাম্মদ মিথুন। ব্যক্তিগত ৩৭ রানে মিথুনের আউটে বিপদ বাড়ে বাংলাদেশের। ২ রানের ব্যবধানে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ও মেহেদি হাসান মিরাজ আউট হন। ফলে ৬ উইকেটে ১৩৯ রানে পরিণত হয় বাংলাদেশ। এই অবস্থায় দাড়িয়ে নিজেদের ধৈর্য্যের পরীক্ষা দেন ইমরুল ও সাইফউদ্দিন।
সপ্তম উইকেটে ১২৭ রানের জুটি গড়েন ইমরুল ও সাইফ। বাংলাদেশের ওয়ানডে ইতিহাসে সপ্তম উইকেটে এটি সর্বোচ্চ রানের জুটি। ইমরুল ওয়ানডে ক্যারিয়ারের তৃতীয় সেঞ্চুরি তুলে ১৪৪ রানে থামেন। সাইফের ব্যাট থেকে আসে ৫০ রান। ফলে ৫০ ওভারে ৮ উইকেটে ২৭১ রানের সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ।
বাংলাদেশের ২৭২ রানের লক্ষ্য স্পর্শ করতে গিয়ে মারমুখী মেজাজে শুরু করে জিম্বাবুয়ে। উদ্বোধনী জুটিতে ৪৩ বলে ৪৮ রান যোগ করেন সফরকারীদের দুই ওপেনার অধিনায়ক হ্যামিল্টন মাসাকাদজা ও চেপাস ঝুয়াও। তবে এই জুটির ভাঙ্গনের পর নিয়মিত বিরতি দিয়ে উইকেট হারিয়েছে জিম্বাবুয়ে। ১৬৯ রানে অষ্টম উইকেট হারিয়ে ম্যাচ হার নিশ্চিত করে ফেলে তারা। নবম উইকেটে ৬৭ রানের জুটি গড়ে বাংলাদেশের জয়কে দীর্ঘায়িত করেছেন সিন উইলিয়ামস ও কাইল জার্ভিস। উইলিয়ামস অপরাজিত ৫০ ও জার্ভিস ৩৭ রান করেন। শেষ পর্যন্ত ৯ উইকেটে ২৪৩ রান করে জিম্বাবুয়ে।
দলের এমন পারফরমেন্সের পরও টপ-অর্ডার নিয়ে খুশী হতে পারছেন না বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা। দ্বিতীয় ম্যাচের আগে মাশরাফি বলেন, ‘টপ অর্ডারে একজন ব্যাটসম্যান একশ করার পরেও দলীয় রান তিনশ হচ্ছে না। টপ অর্ডারের একজন সেঞ্চুরি পেলে দলীয় সংগ্রহ তিনশ ছাড়িয়ে যাওয়াটা খুবই স্বাভাবিক। এই জায়গাটা চিন্তার।
দলের টপ-অর্ডার ও সিনিয়দের কাছে বড় ইনিংস চাইছেন জিম্বাবুয়ের কোচ লালচাঁন রাজপুত। দ্বিতীয় ওয়ানডের আগে তিনি বলেন, ‘দলের সিনিয়র খেলোয়াড়দের আরও দায়িত্বশীল হতে হবে। অধিনায়ক মাসাকাদজা প্রস্তুতি ম্যাচে সেঞ্চুরি করেছিল। আশা করছি, ওয়ানডে সিরিজেও ভালো কিছু করতে পারবে।
বাংলাদেশ দল : মাশরাফি বিন মর্তুজা (অধিনায়ক), লিটন দাস, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ, আবু হায়দার, আরিফুল হক, ফজলে মাহমুদ, ইমরুল কায়েস, মেহেদি হাসান মিরাজ, মোহাম্মদ মিথুন, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, মুশফিকুর রহিম, মুস্তাফিজুর রহমান, নাজমুল হোসেন শান্ত, নাজমুল ইসলাম ও রুবেল হোসেন।
জিম্বাবুয়ে দল : হ্যামিল্টন মাসাকাদজা (অধিনায়ক), তেন্ডাই চাতারা, এলটন চিগুম্বুরা, ক্রেইগ আরভিন, কাইল জার্ভিস, ওয়েলিংটন মাসাকাদজা, ব্রেন্ডন মাভুতা, সলোমন মির, পিটার মুর, তারিসাই মুসাকান্দা, রিচার্ড এনগারাভা, জন নিয়ুম্বু, ব্রেন্ডন টেইলর, ডোনাল্ড তিরিপানো, সিন উইলিয়ামস ও চেপাস ঝুয়াও।