নাটোর প্রতিনিধি: নাটোরে মৌ নামে ৫ম শ্রেণীর এক ছাত্রী তার দুলাভাই সোহাগের লালসার শিকারে পরে নিহত হয়েছে। শ্বাসরোধ করে তাকে হত্যার পর লাশ কলাপাতা দিয়ে জড়িয়ে একটি পাট ক্ষেতের মধ্যে ফেলে রাখা হয়। পরে স্বজন সহ স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে নাটোর সদর হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন।
পুলিশ এই হত্যার সাথে জড়িত সোহাগকে আটক করেছে। নির্মম এই ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার রাত ৮টায় নাটোর সদর উপজেলার একডালা নারায়নপুর এলাকায়। নিহত মৌ একই উপজেলার বনবেলঘড়িয়া এলাকার মোমিন হোসেনের মেয়ে ও একডালা আর কে দুলু উচ্চ বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণীর ছাত্রী । অপরদিকে অভিযুক্ত সোহাগ নাটোর শহরের উত্তর বড়গাছা জোলারপার এলাকার ইজিবাইক চালক খোকনের ছেলে।
পুলিশ ও পারিবারিক সুত্রে জানা যায়, সোমবার বিকেলে স্কুল শেষে মৌ বাড়ীর কাছেই তার বোনের বাড়িতে বেড়াতে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়। এরপর আর বাড়ি ফিরে আসেনি। সন্ধ্যায় সে বাড়িতে না ফিরলে খোজাখুজি শুরু করে স্বজনরা। এসময় এলাকাবাসী রাস্তার পার্শ্বে একটি পাট ক্ষেতে কলা পাতায় মোড়ানো অবস্থায় মৌকে পরে থাকতে দেখে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করে। খবর পেয়ে রাতে পুলিশ সুপার বিপ্লব বিজয় তালুকদার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
নাটোর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি ) সিকদার মশিউর রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান নিহত মৌয়ের গলায় ওড়নার পেচানো দাগ এবং দেহটি কলাপাতা দিয়ে ঢাকা ছিল। লাশ ময়না তদন্তের জন্য নাটোর সদর হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। তদন্ত রিপোর্ট হাতে পেলে প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে।