এম বেলাল উদ্দিন, রাউজান: দক্ষিণ এশিয়ার একমাত্র প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র হালদা নদীতে দ্বিতীয় দফায় ডিম ছেড়েছে কার্প জাতীয় (রুই, কাতাল, মৃগেল ও কালিবাইশ) মা-মাছ। মেঘের গর্জন ও প্রবল বর্ষনের ফলে নদীতে ঢলের তোড়ে সৃষ্ট স্রোতে আংশিক মা-মাছ ডিম ছাড়ে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় প্রবল বৃষ্টিশুরু হলে ডিম সংগ্রহকারীরা নৌকা ও ডিম সংগ্রহের সরঞ্জাম নিয়ে নদীতে নেমে পড়ে।
জানা গেছে, ডিম সংহকারীরা নৌকা ও ডিম সংগ্রহের সরঞ্জাম নিয়েহালদা নদীর রাউজান ও হাটহাজারী এ দুই অংশের নয়াহাট, গড়দুয়ারার টেক,আজিমের ঘাট, আমতোয়া, উত্তর মাদর্শা, রামদাশ্যার হাট, আমতলী,কচুখাইন, মোকামী পাড়া, উরকিরচর, আবুরখীল, মগদাই, কাগতিয়া, উরকিরচর, অংকুরী ঘোনা এলাকাসহ বিভিন্ন পয়েন্টে অবস্থান নেয়। এসময় জেলেরা মা-মাছের ডিম অল্প অল্প করে সংগ্রহ করেছে। জানা যায়, গত ২১ এপ্রিল এই নদীতে মা মাছ ডিম দিয়েছিল। পর্যাপ্ত পরিমাণ ডিম সংগ্রহ করতে পারায় খুশি ছিল ডিম সংগ্রহকারীরা। গড়দুয়ারা ডিম সংগ্রহকারী কামাল সওদাগর নমুনা ডিম পাওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, ‘হালদা নদীতে বিভিন্ন পয়েন্টে নৌকা ও ডিম সংগ্রহের সরঞ্জাম নিয়ে নদীতে জাল পেতে বসে নমুনা ডিমের অস্থিত্ব পায়।
রাউজান উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম বলেছেন, প্রবল বর্ষণ ও মেঘের গর্জনে স্বাভাবিক অবস্থায় দ্বিতীয় দফায় ডিম ছেড়েছে কার্প জাতীয় মা-মাছ। মঙ্গলবার রাতে বেশ কয়েকটি পয়েন্টে ডিম সংগ্রহকারীরা অবস্থান নিয়ে দ্বিতীয় দফায় যে পরিমাণ ডিম সংগ্রহ করেছেন তা নমুনা ডিম বলে মনে হয়েছে।’ বিশেষজ্ঞদের মতে, হালদার অর্ধশত বছরের ইতিহাস হলো গভীর সমুদ্র থেকে চার-পাঁচ মণ ওজনের মা-মাছ হালদারমিঠা পানিতে এসে ডিম ছাড়ে। এসব মাছের ডিম সংগ্রহ করার পর রেনুতে পরিণত করে পুকুর জলাসয়ে চাষাবাদ করলে অল্প সময়ে বেড়ে উঠে