নিউজ ডেস্ক : সারা দেশের মানুষ এজেন্টের মাধ্যমে ব্যাংকিং সেবা পাচ্ছে। চলতি অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে (জুলাই-জানুয়ারি) এজেন্ট ব্যাংকিংয়ে ঋণ বিতরণ হয়েছে ৫ হাজার ৩৮৭ কোটি টাকা। আগের বছরের একই সময়ে ঋণ বিতরণ করা হয় ৪ হাজার ৬৭৭ কোটি টাকা। সেই তুলনায় ঋণ বিতরণ বেড়েছে ৭১০ কোটি টাকা বা ১৩.১৮ শতাংশ।
সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ প্রকাশিত হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
দেশের ব্যাংক খাতে ২০১৪ সালে এজেন্ট ব্যাংকিং সেবা চালু হয়। বর্তমানে এই সেবার গ্রাহক বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ কোটি ১৬ লাখ ৯৬ হাজার ৭৩৬টি। দেশব্যাপী পাড়া-মহল্লা ও হাটবাজারে এরকম এজেন্টের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫ হাজার ৭৬১টি। আর এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট বেড়ে হয়েছে ২১ হাজার ৬০২টি।
তথ্য অনুযায়ী, চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জুলাই-জানুয়ারি সময়ে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ে আমানত সংগ্রহ করা হয়েছে ২ লাখ ৪৫ হাজার ৫৯৪ কোটি টাকা। এর আগের বছরের একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল ২ লাখ ৮ হাজার ৭৮ কোটি টাকা। আগের বছরের তুলনায় আমানত সংগ্রহ বেড়েছে ৩৭ হাজার ৫১৬ কোটি টাকা বা ১৫.২৭ শতাংশ।
এজেন্ট ব্যাংকিং আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর ও ব্যয়সাশ্রয়ী হওয়ায় জনপ্রিয়তা প্রতিনিয়ত বাড়ছে। এজেন্ট আউটলেটে একজন গ্রাহক সহজেই তার হাতের আঙুলের স্পর্শের মাধ্যমে হিসাব পরিচালনা করতে পারেন। গ্রামীণ জনপদের আর্থসামাজিক প্রেক্ষাপটে এজেন্ট ব্যাংকিং কার্যকর একটি উদ্যোগ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন
আপনার মতামত লিখুন: