• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ; ১৬ মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

Advertise your products here

banner image
website logo

নারায়ণগঞ্জ বন্দর উপজেলা নির্বাচনে ফ্যাক্টর হতে পারে জামায়াতের ভোট


ঢাকানিউজ২৪.কম ; প্রকাশিত: সোমবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ০৮:৫১ পিএম
নারায়ণগঞ্জ, বন্দর উপজেলা পরিষদ, নির্বাচন

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি : আসন্ন নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থী জয় পরাজয়ের ব্যাপারে বিশাল একটি ভূমিকা রাখতে পারে জামায়াতে ইসলামীর ভোট। তাই আসন্ন নির্বাচনে জামায়াতে ইসলামীর নিজস্ব ভোট ব্যাংক ফ্যাক্টর হয়ে দেখা দিতে পারে।

সূত্র মতে, বিগত পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিলো দলীয় প্রতীকে। ওই নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহন না করায় স্থানীয় সংসদ সদস্য সেলিম ওসমানের অনুরোধে তৎকালীন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আতাউর রহমান মুকুল নির্বাচনে অংশ না নিলে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে  বিনাপ্রতিদ্বন্দ্ধীয় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন এম,এ রশিদ। কিন্তু ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন দলীয় প্রতীকে না করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এমন সিদ্ধান্তের সুযোগ কাজে লাগাতেই এবারের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে একাধিক প্রার্থী হয়েছেন।

বর্তমান চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম.এ রশিদকে সমর্থন দিয়েছেন স্থানীয় সংসদ একেএম সেলিম ওসমান। অপরদিকে এবারো দলগত ভাবে বিএনপি নির্বাচনে না আসায় এবং বন্দর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান আতাউর রহমান মুকুলকে দল থেকে বহিস্কার করে দেওয়ার ফলে উপজেলা নির্বাচনে মুকুলের প্রার্থী হওয়ার পরিস্কার থাকার ভাল ভাবেই কাজে লাগিয়ে আবারো চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছেন আতাউর রহমান মুকুল। অন্যদিকে মুছাপুরের সাবেক তিনবারের চেয়ারম্যান মাকসুদ হোসেন প্রার্থী হয়েছেন।

শুরুতে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান উপজেলা নির্বাচনে কোন প্রার্থীকে সমর্থন দিবেন না বলে ঘোষণা দিলেও গত ৩০ মার্চ ধামগড় ইউনিয়ন পরিষদ প্রাঙ্গনে একটি উন্নয়ন মূলক আলোচনা সভায় প্রকাশ্যে এম.এ রশিদকে সমর্থন দিয়ে মাকসুদ হোসেন ও আতাউর রহমান মুকুলকে নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ার হুমকি দেন।

কিন্তু এমপি সেলিম ওসমানের এমন হুমকিতে কর্ণপাত না করে মাকসুদ হোসেন ও আতাউর রহমান মুকুল নিজেদের মত করে নির্বাচনী প্রচার প্রচারনার কাজ চালিয়ে যেতে থাকে। এর মধ্য দিয়ে নির্বাচনী মাঠে ভোটের হিসাবে অনেক অদল-বদল হতে দেখা গেছে।

বিএনপি থেকে বহিস্কৃত নেতা আতাউর রহমান মুকুলকে ঠেকাতে উঠে পড়ে লাগে বিভিন্ন মহল। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মাকসুদ হোসেনের ছেলে মাহমুদুল হোসেন শুভ মুকুলের বিরুদ্ধে কর খেলাপীর অভিযোগ এনে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ দিয়ে মুকুলের প্রার্থীতা বাতিলের দাবী করে। তবে শেষ পযন্ত নিজের পক্ষে সকল কাগজপত্র উপস্থাপন করে নিজের মনোনয়ন বৈধতা পান আতাউর রহমান মুকুল।

অন্য দিকে মুকুলের রাজনৈতিক দল বিএনপির পক্ষ থেকে মুকুলকে বয়কটের আহবান জানানো হয়। তবে সেই বয়কট আহবানকারী বিএনপির একটি অংশ মাকসুদ হোসেনের পক্ষে নির্বাচনে অংশ নিয়ে সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। এর মধ্য দিয়ে বন্দর উপজেলায় বিএনপি সরাসরি নির্বাচনে অংশ না নিলেও কোন একজন প্রার্থীকে সমর্থন দেওয়ার বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।

অন্যদিকে জামায়াতে ইসলাম বর্তমানে চার দলীয় জোট থেকে বাইরে রয়েছে। সেই সাথে দলটির কোন নেতা এবারের নির্বাচনে প্রার্থী হয়নি। বন্দর উপজেলা এলাকা ঘুরে বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা যায় উপজেলার আওতাধীন ৫ টি ইউনিয়নে জামায়াতে ইসলামী দলটি কম বেশি প্রায় ১০ হাজার রিজার্ভ ভোট রয়েছে।

সেই মোট পেতে জামায়াত নেতাদের দীর্ঘ দিনের রাজনৈতিক সহকর্মী আতাউর রহমান মুকুল চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন বলে একটি সূত্র থেকে খবর পাওয়া গেছে। অন্যদিকে যেহেতু মুকুলকে ঠেকাতে বিএনপির বড় একটি অংশ তার বিরোধীতা করে মাকসুদ হোসেনকে ছায়া সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে সেই হিসেবে মাকসুদ হোসেন জামায়াতে ভোট পেতেও জোড় চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। কেননা রাজনৈতিক আর্দশগত কারনে জামায়াত সমর্থিত ভোটাররা কোন অবস্থাতেই আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী এম.এ রশিদকে ভোট দিবেন না।

 

 

ঢাকানিউজ২৪.কম / জেডএস/বিশ্বজিৎ দাস

আরো পড়ুন

banner image
banner image