আন্তর্জাতিক ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলকে বলেছে, ইরানের বিরুদ্ধে কোনো প্রতিশোধমূলক হামলায় তারা জড়াবে না। প্রেসিডেন্ট বাইডেন প্রশাসনের সিনিয়র কর্মকর্তারা ইসরায়েলকে জানিয়ে দিয়েছে সে কথা। (খবর-বিবিসি)
হামলার ঠিক পরপরই বাইডেন ও নেতানিয়াহুর মধ্যে টেলিফোনে কথা হয়েছে। এ সময় দুই নেতা কীভাবে এসব পদক্ষেপ মোকাবিলা করা যায় সে ব্যাপারে আলোচনা করেন।
দেশটির কর্মকর্তারা বলছেন, জো বাইডেন ইরানের হামলার ব্যাপারে ইসরায়েলকে তার প্রতিক্রিয়া সাবধানে বিবেচনা করার আহ্বান জানিয়েছেন। রোববার সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় প্রশাসনের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা বলেন, ইরানের হামলার ব্যাপারে ইসরায়েলি বাহিনী কীভাবে অভূতপূর্ব এ পদক্ষেপের জবাব দেয় সে ব্যাপারে প্রেসিডেন্ট বাইডেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে খুব সাবধানে ও কৌশলগতভাবে চিন্তা করতে বলেছেন। কারণ গাজা যুদ্ধে ইসরায়েলে ইরানের এটি প্রথম সরাসরি আক্রমণ।
ওই দিন মার্কিন টেলিভিশনে দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা মুখপাত্র জন কিরবি বলেছেন যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলকে স্পষ্ট করে দিয়েছে যে, তারা বড় ধরনের সংঘাত এড়াতে চায়।
ইরান থেকে ইসরায়েলে রাতভর ৩০০টিরও বেশি ড্রোন ও মিশাইল নিক্ষেপ করা হয়েছে। তেহরান বলেছে, ১ এপ্রিল সিরিয়ায় তাদের কনস্যুলেটে হামলার জবাবে এসব ক্ষেপণাস্ত্র চালানো হয়েছে। তবে লক্ষ্যে পৌঁছানোর আগেই এসব ক্ষেপণাস্ত্রের প্রায় সবগুলো গুলি করে লক্ষ্যভ্রষ্ট করেছে ইসরায়েল, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও তাদের মিত্রবাহিনীর বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা।
ইরানের প্রতিশোধমূলক হামলার সময় প্রায় ৯৯ শতাংশ ক্ষেপণাস্ত্র, ড্রোন ও ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র গুলি করে নামিয়ে দেওয়া হয়েছিল কিংবা বাধা দেওয়া হয়েছিল- যাকে মার্কিন কর্মকর্তারা ইরানের ওপর ইসরায়েলি সামরিক শক্তির শ্রেষ্ঠত্ব হিসেবে দেখছেন।
৮০টিরও বেশি ড্রোন এবং কমপক্ষে ছয়টি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র মার্কিন বিমান ও জাহাজ কিংবা বিমান প্রতিরক্ষা বাহিনীর দ্বারা ইরাকের ওপর দিয়ে ভূপাতিত করা হয়েছে।
ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন
আপনার মতামত লিখুন: