নিউজ ডেস্ক : ঊর্ধ্বমুখী নিত্যপণ্যের বাজারে পাইকারিতে ডাল, পেঁয়াজের দাম কমলেও, এর প্রভাব নেই খুচরা বাজারে। ফলে বাড়তি টাকা গুণতে হচ্ছে ভোক্তাকে।
কৃষক থেকে আড়ত বা পাইকারি ব্যবসায়ীদের হাত ঘুরে পণ্য আসে খুচরা ব্যবসায়ীদের কাছে। সেই পণ্য বিভিন্ন বাজারে নিয়ে ভোক্তাদের কাছে বিক্রি করেন খুচরা বিক্রেতারা। এটিই বাজারে চিরচেনা নিয়ম। পাইকারি পর্যায়ে দাম বাড়লে-কমলে তার প্রভাব পড়ে খুচরা পর্যায়েও।
বুধবার (২৭ মার্চ) মোহাম্মদপুরের টাউনহল মার্কেটসহ বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা যায়, পাইকারিতে পেঁয়াজ, ছোলা ও খেশারির ডালসহ বেশি কিছু পণ্যের দাম কমলেও প্রভাব নেই খুচরা বাজারে।
রমজানের শুরুতে ১৫০ টাকা দরে বিক্রি হওয়া খেসারির পাইকারি পর্যায়ে কেজিতে অন্তত ৩০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ১১০ টাকায়। অথচ খুচরায় তা বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকা দরে।
রাজধানীর মোহাম্মদপুরের টাউনহল মার্কেটে পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা দরে। ব্যবসায়ীদের যুক্তি রয়েছে ভারতের রফতানি নিষেধাজ্ঞার। অথচ পাইকারি পর্যায়ে পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪৫ থেকে ৫০ টাকা দরে।
দাম কমেছে ছোলারও। কেজিতে ৫ টাকা কমে ছোলা বিক্রি হচ্ছে ১০৫ থেকে ১১০ টাকায়।
পাইকারি ব্যবসায়ীরা জানান, বাজারে পর্যাপ্ত পণ্যের সরবরাহ রয়েছে। পাশপাশি চাহিদা কিছুটা কমায় দামও কমছে।
তবে খুচরা ব্যবসায়ীদের দাবি, পাইকারি পর্যায় থেকে পর্যাপ্ত পণ্য না পাওয়ায় দাম কমার প্রভাব খুচরা বাজারে পড়ছে না। তাছাড়া আগের বাড়তি দামে কেনা পণ্য কমে বিক্রি করলে লোকসান গুণতে হবে।
আর ক্রেতারা বলছেন, মুনাফালোভী ব্যবসায়ীরা এগারো মাস বসে থাকে শুধুমাত্র রমজানে অধিক মুনাফা লুটে নেয়ার জন্য, যা দেখার কেউ নেই।
ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন
আপনার মতামত লিখুন: