নিউজ ডেস্ক: প্রথম দফা ভোটের পর থেকেই বিজেপির প্রচারে বারবারই ফিরে আসছে হিন্দুত্ব প্রসঙ্গ, মুসলিম-ভীতি ও জাতীয়তাবাদ। শুক্রবার লখনৌতে এক নির্বাচনী জনসভায় ভাষণ দিতে গিয়ে আবারও মেরূকরণের পথে হাঁটলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি বলেন, সমাজবাদী পার্টি-কংগ্রেস জোট ক্ষমতায় এলে লোকসভা ভোটের পরে রামমন্দির বুলডোজার দিয়ে ভেঙে দেওয়া হবে।
অযোধ্যা থেকে প্রায় ৭০ কিলোমিটার দূরে বারাবাঙ্কিতে একটি নির্বাচনী সভায় মোদি বলেন, এসপি-কংগ্রেস নেতারা রামমন্দির নিয়ে আদালতের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করতে চায়। তারা বলে যে রামমন্দির অকেজো, এ ধরনের লোকজনকে তাদের নিরাপত্তা আমানত হারানো নিশ্চিত করে শাস্তি দেওয়া উচিত।
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী ও তৃণমূল কংগ্রেসের (টিএমসি) সভাপতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ইন্ডিয়া জোটকে সমর্থন সম্পর্কেও মন্তব্য করেন তিনি। মোদি বলেন, চার দফার ভোটের পরে মহাজোটে ‘ভাঙার লক্ষণ’ দেখা যাচ্ছে। তাই তারা পরবর্তী সরকার গঠন করবে কী করে।
প্রধানমন্ত্রী এদিন কংগ্রেসের সিনিয়র নেতা রাহুল গান্ধীকেও নিশানা করেছেন। তিনি বলেন, শাহজাদা (রাহুল) ইতোমধ্যে তাঁর টিকিট বুক করে রেখেছেন। ৪ জুনের পর কোন দেশে যাবেন তিনি। ওয়েনাড থেকে পালিয়েছেন, আমেথি থেকেও পালাবেন তিনি। মোদির অভিযোগ, রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বাধীন কংগ্রেস সুপ্রিম কোর্টের রায় পাল্টে রামমন্দির বন্ধ করতে চায়।
এদিকে মমতাকে লক্ষ্য করে লোকসভা ভোটের প্রচারসভায় আপত্তিকর কিছু মন্তব্য করেছিলেন সাবেক বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সেই মন্তব্যের জন্য তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করেছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। এ নিয়ে তাঁকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়ে কমিশন জানিয়েছে, সাবেক বিচারপতির ওই মন্তব্য ‘সর্বার্থে বেঠিক, বিচারবুদ্ধিহীন, শালীনতার সীমা লঙ্ঘনকারী এবং কুরুচিকর।
ঢাকানিউজ২৪.কম / এইচ
আপনার মতামত লিখুন: