গফরগাঁও (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধিঃ ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার পাগলা থানার পাঁচবাগ ইউনিয়নের চর শাঁখচুড়া গ্রামে মামলার আসামীর বাড়িতে বাদী পক্ষের লোকজন অগ্নি সংযোগ ও লুটপাট করে বলে অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনায় প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে পাগলা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার।
পুলিশ ও ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার সূত্রে জানা যায়, পাঁচবাগ ইউনিয়নের চর শাঁখচুড়া গ্রামের মৃত লাইছউদ্দিন মেম্বারের পরিবারের সাথে বিরোধ চলছিল একই এলাকার আমিন মিয়ার পরিবারের সঙ্গে। গত ২০ এপ্রিল উভয় পক্ষের বিরোধে একটি মারামারি থেকে হত্যাকান্ড সংঘঠিত হয়। পরে রিমন মিয়া ও তার পরিবারের সদস্যদের আসামী করে হত্যা মামলা দায়ের করে আমিন মিয়ার ছেলে সোহেল মিয়া।
পূর্ব বিরোধের জের ধরে শুক্রবার দিবাগত রাতে রিমনের বসত ঘরে দাহ্য পদার্থ দিয়ে প্রতিবেশি সুজন,আমিন,মোতালেব মিয়া সংঘবদ্ধ হয়ে অগ্নি সংযোগ করে। এসময় প্রতিবেশি মাতাব মিয়ার পরিবার আগুন নেভাতে এলে অভিযুক্তরা অস্ত্র উচিয়ে তাড়া করলে ভয় পেয়ে তারা সড়ে যায়।
পরে এলাকাবাসী গফরগাঁও ফায়ার সার্ভিসে খবর দিলে তারা এসে আগুন নেভায়।
ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার রাম প্রসাদ পাল জানান,শ্রক্রবার দিবাগত রাতে শাঁখচুড়া গ্রামে বসত ঘরে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা গিয়ে আগুন নেভায়। এসময় বাড়ির সেমি পাকা বসত ঘরের চারটি কক্ষ এবং মাটির দেয়ালের একটি বসত ঘর ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। ধারনা করা হচ্ছে পেট্রোল জাতীয় পদার্থ দিয়ে বসত ঘরে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে।
এ ঘটনায় পাগলা থানায় অগ্নিসংযোগ ও লুটতরাজের অভিযোগ করেন রিমন মিয়া। তিনি বলেন,পূর্ব বিরোধের কারণে রাজীব হত্যাকান্ডে আমাদের আসামী করা হয়। সেই মামলায় উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়ে এলেও তাদের হুমকির কারণে পরিবারের সদস্যরা বাড়িঘর তালাবদ্ধ করে অন্যত্র চলে আসে। এই সুযোগে প্রতিপক্ষরা আমাদের বাড়িতে রাতের অন্ধকারে অগ্নি সংযোগ এবং লুটপাট করে।
এ ব্যাপারে পাগলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মোহাম্মদ খায়রুল বাশার বলেন,'চর শাঁখচুড়া গ্রামে অগ্নি সংযোগোর ঘটনায় শুক্রবার রাতেই পাঁচবাগ তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ ঘটনাস্থল পরদির্শন করেন। এ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে।তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ঢাকানিউজ২৪.কম /
আপনার মতামত লিখুন: